মেছতার কারণ এবং চিকিৎসা
মেছতা মুখের কালো বা বাদামি রঙের দাগ। এর মেডিকেল নাম মেলাজমা। মেলানোসাইট নামে এক ধরনের কোষ ত্বকের রং সৃষ্টির জন্য দায়ী। এটি কখনও অতিরিক্ত কর্মক্ষম হয়ে অতিরিক্ত রং তৈরি করে যা ত্বকের একজায়গায় জমাট বেঁধে মেছেতা তৈরি করে। মেছেতা ৩ ধরনের হয়ে থাকে।
যেমন-
* এপিডারমাল : এটি সাধারণত চামড়ার উপরের স্তরে থাকে।
* ডারমাল : এটি চামড়ার বেশ গভীরের স্তরে থাকে।
* মিশ্রিত : ত্বকের ওপর ও নিচে সব স্তরেই থাকে মেলানিনের বিস্তার। উডস ল্যম্প নামক এক ধরনের বাতির সাহায্যে আলো ফেলে ত্বকের কোন স্তরে মেছতা হয়েছে তা নির্ণয় করা হয়।
কেন হয়
মেছেতা নারীদের বেশি হয়। গর্ভাবস্থায় হরমোন পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় দেখা যায়। তাছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, সূর্যরশ্মি, ইস্ট্রোজেন হরমোন গ্রহণ, কিছু ওষুধ যেমন- Psoralen, Arsenic, Antiepileptic, Phenothiazine ও কিছু হরমন গ্রন্থির রোগ যেমন- adison's disease, Hyperthroidism মেছতা তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
সাবধাণতা
* সূর্যরশ্মি এড়িয়ে চলার জন্য সবসময় ছাতা কিংবা সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন।
* ভাজা ও প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে থাকুন।
* তাজা শাকসবজি, কাঁচা ও পাকা ফল খেতে চেষ্টা করুন।
* মুখমণ্ডল ছাড়াও কারও যদি শরীরের অন্যান্য অঙ্গে মেছতার প্রকোপ বেশি থাকে তবে তার আঠাল জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো।
প্রয়োজনীয় চিকিৎসা
* ক্লিগমেন ফর্মুলা : এ ফর্মুলায় তিন ধরনের ওষুধের মিশ্রণ ব্যবহার করা হয় যা ব্লিচ হিসেবে কাজ করে এবং মেলানসাইট সৃষ্টিকারী কোষের কার্যকরিতা থামিয়ে রাখে।
* লেজার চিকিৎসা : লেজার চিকিৎসার মাধ্যমে মেছতা সরানো যায়।
* এমসিডি : ঘূর্ণামাইক্রোমান যন্ত্রের সাহায্যে দাগযুক্ত স্থানের ত্বকের সবচেয়ে উপরের স্তর ব্যথাহীন ও রক্তপাতহীনভাবে তুলে নেয়া হয়। এরপর ওষুধ ব্যবহার করতে হয়। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে এটি শুধু এপিডারমাল যা চামড়ার একদম ওপরের স্তরের মেছতার জন্য কার্যকরী।
মধু ও দই-এর মিশ্রণ মেছতার অংশে ব্যবহার করা যেতে পারে।
যেমন-
কেন হয়
Labels
রূপচর্চা
Post A Comment
কোন মন্তব্য নেই :