technology

[নারীদের স্বাস্থ্য][bleft]

business

[পুরুষের স্বাস্থ্য][bleft]

খাওয়ার আগে জেনে নিন আনারস সম্পর্কে কিছু তথ্য !

আমাদের দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ফল হল আনারস। অনেকেই আনারস খেতে ভালোবাসেন। তাছাড়া এই ফলটি প্রায় ১২ মাসই হাতের নাগালে পাওয়া যায়। এই ফলটিতে আছে নানা রকমের ভিটামিন ও অনেক সময় চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে এর ব্যবহার করা হয়ে থাকে।



উপকারিতা
১। আনারসে রয়েছে প্রচুর ফাইবার।এই ফাইবারগুলিকে আমরা ডায়টারি ফাইবার বলি। আনারসে থাকা এই ফাইবারগুলি হজমশক্তি বাড়িয়ে দেয়। যে কোনও গুরুপাক খাবার হজম করতে সাহায্য করে এই ধরনের ফাইবার।
২। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ব্রোমেলিন। এই ব্রোমেলিন টিউমার বা ফোঁড়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। কারোর শরীরে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়া আটকাতেও সাহায্য করে আনারস।
৩। ঠাণ্ডা লাগা প্রতিহত করে আনারস। ঠান্ডা লাগা, সাইনাসের মতো রোগে কাবু হন না, এরকম মানুষ কমই আছেন। সর্দি, কাশি দীর্ঘদিন ধরে থাকলে তা সাইনাসের মতো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা তৈরি করে। গলার নানান সমস্যা যেমন কাশি, গলা ব্যথা, ঠান্ডা লেগে গলা জ্বালা করা, গলাতে শ্লেষ্মা জমা প্রভ্তি রোগ প্রতিরোধে এক নম্বর জায়গায় রয়েছে আনারস। অ্যাজমার প্রকোপ কমায় আনারস।
৪। পেট পরিষ্কার হয় না সময়মতো। ভুগছেন কোষ্ঠকাঠিন্যে। সারাদিন মনে হচ্ছে পেট ভার। ফলের মধ্যে বেছে নিন আনারস। এর ফাইবার সাহায্য করবে পেট পরিষ্কার করতে। কেটে যাবে পেট ভার করা অস্বস্তি ভাবও।
৫। সারাদিনের কাজের চাপে অল্প বয়সেই হাই ব্লাড প্রেসারের সমস্যায় ভুগছেন মানুষ। রাতে ঘুমও হচ্ছে না টেনশনে। ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোল রাখে আনারস। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ অবশ্যই খান। তার সঙ্গে নিয়মমতো খাবারের তালিকায় রাখুন আনারস।
৬। অনেকেই আছেন, যাঁদের রক্ত জমে যাওয়ার সমস্যা থাকে। দেখা যায় আঘাত না লাগলেও শরীরের নানান জায়গায় কালশিটে পড়ছে। বিশেষ করে মহিলাদের পিরিয়ডসের আগে ও পরে। আনারস এই রক্ত জমে যাওয়ার সমস্যাকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৭। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ। এই ম্যাঙ্গানিজ আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। আমাদের রক্তে যে সমস্ত খনিজ পদার্থ থাকে, তার জোগান দেয় ম্যাঙ্গানিজ। যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবার– এই খনিজ পদার্থ আমাদের রক্তে নির্দিষ্ট পরিমাণে থাকা খুব প্রয়োজন। আনারস এই খনিজ পদার্থের ব্যালেন্স রাখে।
৮। আনারস রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, যে কোনও মানুষের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে আনারস।
৯। আনারসের মধ্যে রয়েছে মিশ্র উৎসেচক ব্রোমেলিন। এই ব্রোমেলিন যে কোনও ক্ষতস্থান খুব তাড়াতাড়ি সারিয়ে তোলে। তাই যে কোনও অপারেশনের পর আনারস অথবা আনারসের রস খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
১০। আনারসে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। আমাদের শরীরে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যে কোনও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। অ্যালার্জি, আর্থারাইটিসের সমস্যা কমায়।
১১। আনারসে রয়েছে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি চুল ভাল রাখে।
আপনি কি জানেন সুস্বাদু এই আনারসের বেশ কিছু খারাপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। চলুন জেনে নেই বিষয় গুলো।
১। অ্যালার্জীর আক্রমনঃ আনারস খাওয়ার ফলে অনেক নারী ও পুরুষের দেহে অ্যালার্জী দেখা দিতে পারে। আনারস খাওয়ার ফলে অ্যালার্জীর উপসর্গ হল ঠোঁট ফুলে যাওয়া ও গলায় সুরসুরি বোধ হওয়া। তাই আনারস খাওয়ার আগে তা কেটে লবন পানি দিয়ে ধুয়ে নেয়া উচিত। এভাবে ধুয়ে নিয়ে খেলে কোন সমস্যা হওয়ার সম্ভবনা থাকেনা।
২। নারীর গর্ভপাত ঝুঁকিঃ আনারসের কারণে নারীদের গর্ভপাত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। গর্ভাবস্থায় থাকলে নারীদের আনারস খেতে বারণ করা হয়। তাছাড়া গর্ভাবস্থার পরে চাইলে আনারস খেতে পারেন কিন্তু শরীরের অবস্থা বুঝে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।
৩। বাতের ব্যথা হওয়ার ঝুঁকিঃ যখন আপনি আনারস খাবেন তখন এটি আপনার গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল নালীর কাছে পৌঁছানোর পর এটি অ্যালকোহলে পরিণত হয়। এবং এই কারণে মানুষের দেহে বাতের ব্যথা শুরু হতে পারে। তাই যে সকল মানুষের দেহে বাতের ব্যথা আছে কিংবা সন্দেহ করা হচ্ছে বাত হতে পারে তাদের আনারস না খাওয়াটাই ভালো।
৪। রক্তে চিনির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়ঃ আনারসে আছে অনেক বেশি পরিমানে প্রাকৃতিক চিনি। আনারসের ২ টি চিনি উপাদান সুক্রোজ এবং ফ্রুক্টোজ যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু দেহের ক্ষতি, এটি খাওয়ার উপর নির্ভর করে। এবং আনারসের মধ্যে অতিরিক্ত চিনি আমাদের দেহে রক্তের চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই আনারস বেশি না খেয়ে সপ্তাহে ২ দিন খেতে পারেন।
৫। ওষুধের প্রতিক্রিয়াঃ আনারসে আছে ব্রমিলেইন যা দিয়ে ওষুধ বানানো হয়ে থাকে এবং কোন রোগীর প্রয়োজন পরলে তাকে তা দেয়া হয়ে থাকে। তাছাড়া আপনি যদি কোন কারণে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিকনভালসে
ন্ট ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আনারস খেতে ডাক্তাররা নিষেধ করে থাকেন। কারন এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
৬। কাঁচা আনারসে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ অনেকেই কাঁচা আনারস ব্যবহার করে থাকেন জুস বানানোর জন্য কিন্তু এটি দেহের জন্য ক্ষতিকর এবং খুব বিষাক্ত এবং মাঝে মাঝে কাঁচা আনারস খাওয়ার কারণে বমির প্রবনতা দেখা দেয়।
৭। কাঁচা আনারস মুখ ও গলার জন্য ক্ষতিকরঃ কাঁচা আনারসে আছে অনেক বেশি পরিমানে এসিডিটি যা আমদের মুখের ভিতর ও গলায় শ্লেষ্মা তৈরি করে এবং ফলটি খাওয়ার পর মাঝে মাঝে অনেকের পেটে ব্যথাও হতে পারে।
৮। রক্ত তরলীকরণ ওষুধঃ রক্ত তরল করার জন্য যে ওষুধ বানানো হয় তাতে আনারস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ফল দেহে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়াতে বাঁধা প্রদান করে থাকে।
৯। আনারসের ব্রমিলেইনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ ব্রমিলেইন আনারসের একটি উপাদান যা আমদের দেহের প্রোটিনের পরিমাণ নষ্ট করাতে দায়ী থাকে। এবং এই ফল দেহে ডার্মাটাইটিস ও অ্যালার্জী সংক্রামন করে।
১০। দাঁতের জন্য ক্ষতিকরঃ আনারস আমাদের দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। যাদের দাতে কেভিটিস ও জিংজাইভেটিভস এর সমস্যা আছে তাদের আনারস না খাওয়াই ভালো।
Post A Comment
  • Blogger Comment using Blogger
  • Facebook Comment using Facebook
  • Disqus Comment using Disqus

কোন মন্তব্য নেই :


three columns

[যৌন স্বাস্থ্য][bleft]

cars

[এক্সক্লুসিভ][bleft]